আমতলীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা
২ April ২০২৪ Tuesday ৬:৩০:১৯ PM
আমতলী উপজেলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। স্থান সংকুলণ না হওয়ায় রোগীদের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে পাঁচগুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। ৬ জনের বেডে ৩০ জনের চিকিৎসা চলছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত বেড বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন রোগী ও তার স্বজনরা। অপর দিকে আইভি স্যালাইন সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীদের ফার্মেসি থেকে আইভি স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। জানা গেছে, গত এক সপ্তারে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে শতাধির রোগী ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সেবিকাদের রোগীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়োটিক ও কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না। বাইর থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে এবং হাসপাতালের বারান্দায় বেড দেয়া হয়েছে। এতে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তারা। এছাড়াও শত শত রোগী কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে অধিকাংশ রোগী পায়না নদী সংলগ্ন এলাকার বলে জানা গেছে। লবনাক্ত পানি ব্যবহারেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বারান্দার বেডে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে বেডে ১১ জন এবং বারান্দায় ১৯ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। ডায়রিয়া আক্রান্ত আমড়াগাছিয়া গ্রামের খাদিজা বেগম বলেন, হাসপাতাল থেকে এন্টিবায়েটিক ও স্যালাইন দেয়া হচ্ছে তারপরও বাইর থেকে ওষুধ কিনতে হয়। তিনি আরো বলেন, বেড না থাকায় বারান্দায় বেড পেতে চিকিৎসা নিচ্ছি। দ্রুত হাসপাতালে বেড বাড়ানো প্রয়োজন। চাওড়া পাতাকাটা গ্রামের সাজেদা আক্তারের স্বামী জসিম উদ্দিন বলেন, দুই দিন আগে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। হাসপাতাল থেকে কিছুই দিচ্ছে না। চাওড়া ইউনিয়নের ডাক্তারবাড়ী এলাকার জাহেদা বেগমের স্বজন বলেন, হাসপাতালে স্যালাইন নেই। স্যালাইন বাইর থেকে কিনতে হচ্ছে। আমতলী পৌরসভার বটতলা এলাকার শিশু রোগী রেদওয়ানের স্বজন বলেন, হাসপাতাল থেকে কিছুই দেয়নি। সব কিছু বাইর থেকে কিনতে হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে বেড না থাকায় বাইরের বেডে ছেলেকে নিয়ে থাকছি। এতে সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতালে আরো ডায়েরিয়া বেড বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কুকুয়া গ্রামে ৭০ বছর বয়সী রুপশা বেগম বলেন,‘ওরে বাবা আল্লায় মোরে বাচাইবে কিনা হেইয়্যা কইতে পারি না। মুইএ্যাকছের বায়রায় যাই। ’আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মুনয়েম সাদ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও পায়রা নদী সংলগ্ন এলাকায় রোগীদের সংখ্যা অনেক বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, নদীর লবন পানি ব্যবহারের ফলে এ রোগের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আইভি স্যালাইন সরবরাহ অব্যহত আছে। তবে আরো স্যালাইনে চাহিদা দেয়া হয়েছে। দ্রুত ওই স্যালাইন পেয়ে যাব। ডায়রিয়া রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
||