১৩ May ২০২৪ Monday ৮:০২:১২ PM

আমতলীতে দেড় যুগ ধরে পরিত্যক্ত খাদ্যগুদামে চলে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ভবন নেই দেড় যুগ ধরে। সরকারি পরিত্যক্ত খাদ্যগুদামে চলে অফিসের কার্যক্রম। সেখানেই থাকা-খাওয়াসহ যাবতীয় কাজ করছেন পুলিশ সদস্যরা। মানবেতর এ জীবনযাপন থেকে মুক্তি পেতে নতুন ভবনের দাবি জানিয়েছেন তারা।

আমতলী থানা থেকে ১০ কিলোমিটার পূর্বে গাজীপুর বন্দরের অবস্থান। এ বন্দরের মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এখানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়।

২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর তৎকালীন সংসদ সদস্য মো. মতিয়ার রহমান তড়িঘড়ি করে সরকারি খাদ্যগুদামে অফিস বানিয়ে ফাঁড়ির কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এখানে দু’জন পুলিশ পরিদর্শক, তিনজন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক, ১৩ জন কনস্টেবলসহ ১৮ পদে নিয়োগ দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ভবনটির দু’পাশে ১০ ফুটের দুটি দরজা ছাড়া চারপাশে কোনো জানালা নেই। এই ভবনেই অফিস, থাকা-খাওয়াসহ সব কাজ চলে ফাঁড়ির ১৮ সদস্যের।

গতকাল রোববার সকালে ফাঁড়ি ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের দু’পাশে বিশাল আকারের দুটি দরজার লোহার পাল্লা মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। দরজা খোলা থাকে সব সময়। শীত-বর্ষা সব মৌসুমেই খোলা রেখে ঘুমাতে হয়। ভবনে কয়েকটি ভেন্টিলেটর আছে, তবে কোনো জানালা নেই। উত্তর-পশ্চিম কোণে অফিস বানানো হয়েছে। এখানে বসেই অফিস পরিচালনা করেন সদস্যরা। ভবনের ভেতর বিশাল খোলা চত্বরের দু’পাশে কাপড়ের বেড়া দিয়ে আড়াল করে রাখা সারি সারি কাঠের চৌকি। এই চৌকিতেই রাত কাটাতে হয় পুলিশ সদস্যদের। খাওয়া-দাওয়া যার যার চৌকির ওপরেই সারতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বলেন, তাপদাহের কারণে ছাদ গরম থাকে। জানালা না থাকায় ঘরের ভেতর বাতাস প্রবেশ করে না। প্রচণ্ড গরমে রাতে ঘুম হয় না। আবার শীতকালে ঘর স্যাঁতসেঁতে থাকে। খোলা দরজা দিয়ে হুহু করে বাতাস ঢোকে। মাঝেমধ্যেই ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান তারা।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ভবন নির্মাণের জন্য কেন্দ্রীয় পুলিশ দপ্তরে চাহিদা দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু হবে।