বাউফলে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থী নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা রবিবার রাতে (৭ জুলাই) বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষার্থী চলতি বছর দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। একটি বিষয়ে ফলাফল খারাপ করায়\ ওই শিক্ষার্থী আগামী বছর ফের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ওই মাদ্রাসার কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে সে প্রাইভেট পড়া শুরু করে। গত ৩০ জুন বিকালে প্রাইভেট পড়া শেষে ব্যাচের সকল শিক্ষার্থীকে ছুটি দেওয়া হলেও বিশেষ পড়ার অজুহাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীকে টেবিলে বসতে বলেন শিক্ষক শহিদুল। কিছুক্ষণ পর ঘরের দরজা আটকে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় শিক্ষক শহিদুল। ধস্তাধস্তির কারণে শিক্ষার্থীর শরীরে ক্ষত তৈরি হয়েছে। বিষয়টি কাউকে না বলার নির্দেশ দিয়ে শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। পরে নির্যাতিত শিক্ষার্থী তার বাবা মাকে বিষয়টি জানানোর পর গ্রামের কয়েকজন মোড়ল শালিস মীমাংসার প্রতিশ্রæতি দেয়।
শালিসে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হলেও শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমি এই বিচার মানি না। পরে রোববার রাতে নির্যাতিত শিক্ষার্থীরা মা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
পায়রা সমুদ্র বন্দর অর্থনীতির বিষফোঁড়া: পরিকল্পনা উপদেষ্টা