পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের এক নেতাকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে লুটপাট ও চাঁদাবাজির দায়ে অব্যাহতি পাওয়া বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এস এম বাবলুকে এই হুমকি দেন নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খান। গত সোমবার (১০ মার্চ) সকালে তাদের মধ্যে এই কথোপকথন হয় বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কল রেকর্ড থেকে শোনা যায়, ছাত্রদল নেতা বাবলুকে এনায়েত বলছেন, ‘তুই অভিনন্দন জানাইছ কারে? বাবলু উত্তর দিতে গেলেই আবার এনায়েত বলেন,…পো তোর নাজিরপুর আওয়ার ক্ষমতা আছে? তুই পাঁচ বছরে নাজিরপুর আইতে পারলে আমার নাম ফিরাইয়া থুমু। তোরে তো ভাগেই পাইবে না কেউ, যে যে অভিনন্দন দিছে ওই…পোলারা একটাও এলাকায় আইতে পারবে না। তুই যেই হানে আছো, তোরে ধইরা বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হইবে’ এ সময় একাধিকবার অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন এনায়েত। এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের আহŸবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এস এম বাবলু বলেন, ‘গতকাল (৯ মার্চ) এনায়েত হোসেনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে রমিজ হাওলাদারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দলীয় কর্মী হিসেবে আমি নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ফোনে আমাকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দেন। দলীয় নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ সম্প্রতি চাঁদা দাবি করে না পেয়ে কৃষকের তরমুজ লুটের ঘটনার মামলায় আসামি হয়ে পলাতক রয়েছেন এনায়েত হোসেন খান। তবে তিনি মোবাইল ফোনে দাবি করেন, এই কথোপকথন তার নয়।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।