" />
AmaderBarisal.com Logo

বরিশালে সবজির পাইকারি-খুচরা দামে দ্বিগুণ ফারাক


আমাদেরবরিশাল.কম

১ September ২০২৫ Monday ৪:২৪:০৭ PM

নগর প্রতিনিধি:

বরিশালে পাইকারি বাজারে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে তার দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। এতে বাজার করতে এসে চরম বিপত্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল নগরীর একমাত্র পাইকারি কাঁচামালের বাজার বহুমুখী সিটি মার্কেট ও খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

বহুমুখী সিটি মার্কেট পাইকারি সবজির বাজারে ঘুরে দেখা যায়, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০-৩৫ টাকা, বেগুন ৭৫-৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতি পিস ২৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (দেশী) ৩০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, কাঁচকলা ২০ টাকা হালি, বরবটি ৬০ টাকা, শসা ৪৫ টাকা, পেঁপে ১৫ টাকা, ঝিঙে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একই সবজি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় দেড়গুণ থেকে দ্বিগুণ দামে।

নগরীর বাংলাবাজার খুচরা সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ১২০-১৬০ টাকা, পুঁইশাক ৪৫-৬০ টাকা, বেগুন ৮০-১২০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, করেলা ৬০-৬৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে প্রতি পিস ৪০-৪৫ টাকা, মিষ্টি কুমড়া (দেশী) ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, বরবটি ৮০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, ঝিঙে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর বাংলাবাজার বাজারে আসা ক্রেতা কাঞ্চন হাওলাদার বলেন, এক কিলোমিটার ব্যবধানে পাইকারি বাজারে যে সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হয় সেই সবজি খুচরা বাজারে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের না খেয়ে থাকার অবস্থা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আরেক ক্রেতা আমজেদ বলেন, কোনো কিছুই আমাদের নাগালের মধ্যে নেই। মাছ মাংসের যে হারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তা এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সবজি একটু ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল তাও মাঝে মাঝে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গেলে সব কিছু কিনে বাড়ি ফিরতে পারি না।

পাইকারি ও খুচরা বাজারের মূল্যে দ্বিগুণ পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বাংলাবাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পাইকারি মোকাম থেকে সবজি কেনার পর পরিবহন ব্যয় ও শ্রমিক মজুরি দিয়ে আনতে হয়। তারপর বাজারে সবজি নিয়ে বসলে সেজন্য ভাড়া দিতে হয়। লাইটের জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। অনেক সময় সবজি নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের লোকসান গুণতে হয়। তাই খুচরা বাজারের সঙ্গে পাইকারি দরের তুলনা করে লাভ নেই।

নগরীর বহুমুখী সিটি মার্কেট পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মেসার্স দুলাল বাণিজ্যলয়ের প্রোপাইটর আমিন শুভ বলেন, পাইকারি বাজারে গত এক সপ্তাহ ধরেই সব ধরনের সবজি একই দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু দুয়েকটা সবজির দাম ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এছাড়া সব সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে এ বিক্রেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে নিয়ে গাড়ি ভাড়া দিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করে। সেক্ষেত্রে কিছুটা লাভ রাখতে পারে। কিন্তু প্রায় সময় দেখি পাইকারি বাজার থেকে পণ্য কিনে নিয়ে দ্বিগুণ তিনগুণ দামে বিক্রি করছে।



সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।