" />
AmaderBarisal.com Logo

বরগুনায় ৩৯ সেতুতে ঝুঁকি নিয়েই পারাপার


আমাদেরবরিশাল.কম

১৮ September ২০২৫ Thursday ৬:০৬:৪৯ PM

পাথরঘাটা ((বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লোহার ও পাকা মিলে শতাধিক সেতু রয়েছে। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৯টি। এসব সেতু দিয়ে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন কয়েক লাখ মানুষ। 

সেতুগুলোর বেশিরভাগই সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব সেতুর ওপর হালকা যানবাহন উঠলেই কেঁপে ওঠে, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আঁতকে ওঠেন যাত্রীরা। কয়েকটি ভেঙে খালে পড়ে গেলেও সেখানে কোনো সতর্কবার্তা টানানো হয়নি। ফলে মানুষ ও যানবাহন প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করছে।

পাথরঘাটা এলজিইডি কার্যালয়ের তথ্যমতে, উপজেলায় লোহার ও পাকা মিলে শতাধিক সেতু রয়েছে। এরমধ্যে সদর ইউনিয়নের ৫টি, চরদুয়ানীতে ৬টি, কালমেঘায় ৭টি, কাকচিড়ায় ৪টি, কাঠালতলীতে ৯টি, নাচনাপাড়ায় ৭টি এবং রাহহানপুর ইউনিয়নের ১টি সেতু এখন সম্পূর্ণভাবে অনুপযোগী ও মেরামতের অযোগ্য। 

১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। দুই দশক ধরে সংস্কার না হওয়ায় সেতুগুলো এখন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুগুলোর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার ৩৫৮ দশমিক ৫ মিটার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন বাজারের উপর নির্মিত একটি সেতু দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। কর্তৃপক্ষের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় স্থানীয়রা নিজেরাই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করছে। 

রূপধন এলাকায় প্রচুর আলু উৎপাদন হয়। সেতুটি অনুপযোগী থাকায় কৃষকদের উৎপাদিত আলু ঠিকমতো বাজারজাত করা যাচ্ছে না। ফলে তাদের কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

নাচনাপাড়া ইউনিয়নের নাচনাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে মাঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলার সংযোগকারী একটি কাঠের ব্রিজ অনেক আগেই ভেঙে গেছে। 

পরে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে সাঁকো তৈরি করলেও সাম্প্রতিক জোয়ারের চাপে সেটিও ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে দুই পাশের মানুষ বাধ্য হয়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত এসব সেতুর সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

পাথরঘাটা উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরন মন্ডল জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ৩৯টি সেতুর তালিকা তৈরি করে পুনর্নির্মাণের জন্য বাজেট প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেতুগুলো সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তবে এসব সেতুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা উল্লেখ করে কোনো সতর্কবার্তা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।



সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।