![]() কম দামে দুধ বিক্রি করে আলোচনায় মেহেন্দিগঞ্জের খামারি জামান
৭ October ২০২৫ Tuesday ১২:৪২:৩৬ PM
মেহেন্দিগঞ্জ ((বরিশাল) প্রতিনিধি: ![]() বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে পাঁচ মাসের মধ্যে স্থানীয়দের আলোচনার কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে ‘বেঙ্গল ক্যাটল অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম’। এই আলোচনার মূলে রয়েছে, এই খামার থেকে কম দামে দুধ সংগ্রহ করছেন স্থানীয়রাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। খামারের মালিক ও উদ্যোক্তা আমেরিকা প্রবাসী কাজী জামান জানিয়েছেন, দুগ্ধশিল্পকে এগিয়ে নিতে এই খামার গড়ে তুলেছেন তিনি। দুধের বহুমাত্রিক ব্যাবহারে ভূমিকা রাখতে চান তিনি। সরেজমিন দেখা যায়, ফ্রিজিয়ান হলস্টিন, জারসি ও অস্ট্রেলিয়ান জাতের প্রায় ৫০টি গাভি রয়েছে খামারটিতে। দিনে দুই বেলা যন্ত্র দিয়ে ও সনাতন পদ্ধতিতে দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দোহনকারীর গায়ে অ্যাপ্রোনসহ পায়ে বিশেষ জুতা। খামারটিতে রয়েছে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। নালার মাধ্যমে দূরে করা ট্যাংকে পড়ছে বর্জ্য। সেখান থেকে প্লান্টের মাধ্যমে উৎপাদন হচ্ছে বায়োগ্যাস ও জৈবসার। খামারের ম্যানেজার মোল্লা নাঈম জানান, বর্তমানে খামারটিতে দৈনিক ৪-৫ মণ দুধ সংগ্রহ করা হয়। এই দুধ দিয়ে খামার মালিক ঘি ও মাখন তৈরি করে বিক্রি করেন। এ ছাড়া স্থানীয়রা ৭০ টাকা লিটারে সংগ্রহ করেন। বাজারের তুলনায় প্রতি লিটারে অন্তত ৩০ টাকা কম। ফলে সকাল-বিকাল দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। কথা হয় খামারের নিয়মিত ক্রেতা হাবিবা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি নিয়মিত এখান থেকে দুধ নিই। অন্য জায়গায় ১০০ টাকা হলেও এখানে ৭০ টাকা। একটু ছাড় আছে। অনেকে আসে দুধ নেওয়ার জন্য।’ জসিম উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আমি দৈনিক ৫ লিটার দুধ নিই। কেজিতে ৩০ টাকা হারে ১৫০ টাকা কমে নিতে পারি।’ কথা হয় খামারি কাজী জামান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানালেন, আমেরিকার উইসকনসিনের এক্সপোতে বিভিন্ন দুগ্ধ খামার ঘুরেছেন তিনি। অনুপ্রাণিত হয়ে নিয়েছেন প্রশিক্ষণ। স্বপ্ন ছিল দেশে এমন খামার গড়ে তোলার। চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে নিজ গ্রামে খামারটি গড়ে তোলেন তিনি। জামান বলেন, ‘খামারটি গড়তে আমার ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। খামারটিতে ১২ জন কর্মচারী ছাড়াও একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিজের গ্রামের মানুষকে কম দামে দুধ খাওয়াতে পেরে আমি খুশি। এটাও একটা সেবামূলক কাজ। যার মাধ্যমে আমি তৃপ্তি পাই। এসব দুধ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করি।’ এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ জৈবসার উৎপাদন হয়। সেগুলোও স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে স্বল্প মূল্যে বিক্রি করেন তিনি। আপাতত গ্রামবাসীকে কম দামে দুধ দিতে গিয়ে মাসে প্রায় ২ লাখ টাকা লোকসান হয় বলে জানান এ উদ্যোক্তা। তবে অচিরেই তিনি লাভের মুখ দেখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। খামারটির বিষয়ে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম জাকারিয়া তৌহিদ বলেন, মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় মোট ১১৮টি গরুর খামার রয়েছে। কালিকাপুরে এক প্রবাসী যে দুগ্ধ খামার করেছেন, আমি এরই মধ্যে সে খামারটি ভিজিট করেছি। সম্ভাবনাময় এ দুগ্ধশিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারিভাবে নতুন উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হবে। সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
||