" />
AmaderBarisal.com Logo

পায়রা নদীর ভাঙনে বিলীন বাজার-গ্রাম, নিঃস্ব কয়েকশ পরিবার


আমাদেরবরিশাল.কম

১৩ October ২০২৫ Monday ১২:০৯:৪৭ PM

দুমকি ((পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

পায়রা নদীর ভাঙনে তিলে তিলে গড়ে ওঠা সাজানো স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মানুষ। নিজেদের বাঁচাতে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

অব্যাহত নদীভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে দুমকি উপজেলার ৪নং আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের বাজারসহ সহস্রাধিক বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বেড়িবাঁধ না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন কয়েকশ পরিবার। তবে খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জলিল উদ্দিন ফকির বলেন, ‘কিছুদিন আগেও আমাদের সুন্দর একটি ঘর ছিল, পুকুরভরা মাছ ছিল, গোয়ালে গরু ছিল, খেতভরা ধান ছিল। কিন্তু আজ সবই স্মৃতি। পায়রা নদীর ভাঙনে আমাদের সেই সাজানো সংসার কেড়ে নিয়েছে। শেষ সম্বলটুকুও এখন হুমকির মুখে।’

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ৪নং আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পায়রা নদীর অরক্ষিত বেড়িবাঁধ ভেঙে বাহেরচর ও আঙ্গারিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতি বছর আমাবস্যা, পূর্ণিমা ও বিভিন্ন সাইক্লোনে পানিবন্দী অবস্থায় পড়েন। ভাঙা বাঁধ দিয়ে নদীর পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে।

ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষেত, গাছপালা সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে এসব গ্রামের শত শত পরিবার। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বহু পরিবারের সাজানো স্বপ্ন, পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ও স্মৃতি। অনেকের ঘরবাড়ি আজও পুনর্নির্মাণ সম্ভব হয়নি।

অতঃপর নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ ঘরবাড়ি স্থানান্তর করে বাঁচার চেষ্টায় অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন। আগ্রাসী নদীভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের হাজারো মানুষ। কবর, ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয়ের জন্য ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। তারা এখন ত্রাণ নয়, দাবি করছেন স্থায়ী বেড়িবাঁধের।

স্থানীয় বাসিন্দা আলেয়া বেগম বলেন, ‘২০ বছর আগে শ্বশুরবাড়িতে আসার সময় দেখেছিলাম সাজানো সংসার। ধীরে ধীরে পায়রা নদীর ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে আছি আমরা।’

আরেক বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘এখনই যদি ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে কিছু না করা হয়, তাহলে আগামী চার বছরের মধ্যেই ভেতরের ঘরবাড়িগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব বলেন, ‘বর্তমানে ভাঙনরোধে অস্থায়ীভাবে কাজ চলছে। তবে খুব শিগগিরই স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেয়া হবে।’

পটুয়াখালী জেলায় মোট ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২২ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৬ কিলোমিটার পুরোপুরি ভেঙে গেছে।



সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।