![]() ঝালকাঠিতে ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ, ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে নামতে প্রস্তুত জেলেরা
২৪ October ২০২৫ Friday ৫:২৫:৫৯ PM
অমিত বণিক অপু, ঝালকাঠি প্রতিনিধি ![]() ঝালকাঠিতে ২২ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার পর শনিবার মধ্যরাত থেকে নদীতে মাছ শিকারে জেলেরা। ইলিশের পেটে ডিম থাকার কারনে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করে সরকার। এই সময়টায় প্রজননের মাধ্যমে বংশবৃদ্ধি করে ইলিশ মাছ। আর সঠিকভাবে বংশবৃদ্ধি করতে পারলে নদীতে ভরে যায় ইলিশ। তদুপরি কিছু জেলে নিষেধাজ্ঞার ভিতরে গোপনে ইলিশ শিকার করায় মাছের প্রজননে ব্যাপক পরিমাণ ব্যাঘাত ঘটে। যে কারণে বাধ্য হয়ে প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালিয়েছেন। আটক করেছেন, সাজা প্রদান করেছেন বেশ কিছু ইলিশ সন্ত্রাসীদের। তবে সবাই কিন্তু ইলিশ সন্ত্রাসী নন। সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলেদের অধিকাংশই দিন আনে দিন খায়, এভাবে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। সহজ কথায় দিনমজুরীর টাকায় তাদের সংসার চলে বলা চলে। এদের নাই তেমন কোন গচ্ছিত টাকা। প্রতিদিন উপার্জনের টাকার উপর ভিত্তি করে দিন যাপন করতে হয়। নিষেধাজ্ঞার সময়কালে সরকার জেলেদেরকে নানা ধরনের সুবিধা দিয়ে থাকলেও অনেক জেলে নগদ টাকার অভাবে থাকেন। কেউ কেউ আছেন প্রতিদিনের রোজগারের টাকা থেকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করেন, অনেকের প্রতিদিনের রোজগারের টাকা থেকে স্ত্রী সন্তানের জন্য ওষুধ কিনে নিয়ে যেতে হয়, কারো কারো দিতে হয় স্কুল কলেজ সহ শিক্ষকের বেতন। নানামুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়ে অনেক জেলে বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নামতে হয়েছে মাঝ নদীতে। তবে অভিযানের হাত থেকে রেহাই পায়নি কেউই। অভাব অনটনের ভিতর আবার নিষেধাজ্ঞা সেই সকল জেলেদের জীবনে সত্যিই দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। অন্যদিকে, দেশের সরকার এই নিষেধাজ্ঞা জারি না করলে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি সম্ভব নয়। এই সময়টা মাছের পেটে ডিম থাকে, ডিম সহ মাছ শিকার করলে স্বাভাবিকভাবেই নদীতে মাছ বৃদ্ধি পায় না। দেশের সাধারণ সকল মানুষের কথা চিন্তা করে, প্রত্যেকটা মানুষ যাতে সহজলভ্যভাবে ইলিশ মাছ খেতে পারে এই সকল চিন্তা করেই মাছের পেটে ডিম থাকা কালীন মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এজন্য সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে সরকারকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা। গরিব জেলেরা নিজেদের জীবন দুর্বিষহ করে যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং সরকার ও প্রশাসন ব্যাপক পরিমাণ অভিযান চালিয়ে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারি করে যেভাবে মাছের প্রজনন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছেন সেভাবে সাধারণ মানুষ সহজলভ্য ভাবে ইলিশ মাছ খেতে পারবে তো? এমনটাই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। তাদের দাবি, দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ না করে দেশের বাইরে রপ্তানি না করার জন্য। বিগত বছরগুলোতে নিষেধাজ্ঞা, অভিযান, সাজা সবকিছু শতভাগ সফল থাকলেও সহজলভ্য ভাবে দেশের মানুষ ইলিশ খেতে পারেন নি বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। নতুনভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে, দেশ পরিচালনা করছে নতুন সরকার। নতুনভাবে এবার দেখার পালা জাতীয় মাছ “ইলিশ” দেশের মানুষের কাছে কতটা সহজলভ্য হয়। সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না। |
||

