" />
AmaderBarisal.com Logo

বরিশালে এইডসে আক্রান্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা


আমাদেরবরিশাল.কম

৫ December ২০২৫ Friday ৩:৩৮:১২ PM

বিশেষ প্রতিনিধি:

বরিশালে এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী। তারা বরিশালের স্বনামধন্য একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এআরটি সেন্টার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সেন্টারের কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন বলেন, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এআরটি সেন্টারে তিন হাজার ১৩০ জনের এইচআইভি পরীক্ষা করা হয়েছিল। যার মধ্যে কেউ চিকিৎসকের পরামর্শে, কেউ নিজ উদ্যোগে আবার কেউ ভিন্ন কারণে পরীক্ষা করান। মোট পরীক্ষার মধ্যে ২০ জন এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন। এর মধ্যে ১১ জনই শিক্ষার্থী। এছাড়া প্রবাসী ৩ জন ও স্থানীয় বিভিন্ন পেশার ৬ জন রয়েছেন। স্থানীয় ৬ জনের মধ্যে একজন হিজরাও আছেন।

তিনি জানান, আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের বয়স ১৭ থেকে ২৮ বছর। এ শিক্ষার্থীরা এইচএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করছেন। তবে তারা সবাই বরিশালের বাসিন্দা নন; অনেকেই অন্য জেলা থেকে বরিশালে অবস্থান করছেন। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই সমকামী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদের সবাইকে চিকিৎসার আওতায় আনা হয়েছে। তাদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে এবং নিয়মিত ফলোআপে রাখা হয়েছে যেন তারা বাইরে না যায় এবং অন্য কারো সংস্পর্শে গিয়ে ঝুঁকি তৈরি না করে। সে জন্যই গুরুত্বপূর্ণ কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।

কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জসিম উদ্দিন বলেন, এক বাসায় কিংবা এক কক্ষে ৫–৭ জন থাকে। তারা কোন বাসায় থাকে, কারা থাকে সেটা নজরদারি করতে হবে। সন্তান কোথায় থাকে, তার বন্ধু কারা এবং কী করে এসব বিষয় অভিভাবকদের ফলোআপে রাখতে হবে।

কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেক শিক্ষার্থী এমএসএমে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে যেসব ছেলেদের মধ্যে মেয়েদের মতো আচরণ দেখা যায়, তাদের দিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। কিন্তু ছেলে হওয়ায় কেউ সন্দেহও করে না বা ভুল বুঝতে পারে না। এ সুযোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অভিভাবকরা সচেতন হলে এটি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এইডস প্রতিরোধে গত ১ অক্টোবর থেকে আরও কঠোর হয়েছেন বলে জানান এআরটি কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, যে আসবে এবং রিপোর্ট পজিটিভ হবে, তাকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসছি। এক সেকেন্ডের জন্যও তাদের না জানিয়ে কোথাও যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি জানান, যারা এইচআইভি পজিটিভ হয়েছেন, তাদের মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে শুকিয়ে কঙ্কালসার হয়ে যাওয়া, রক্ত কমে যাওয়া, মাথাব্যথা এবং পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। এসব কারণে চিকিৎসকের কাছে গেলে পরীক্ষায় তারা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। কেউ নিজে থেকে এসে পরীক্ষা করেননি।

জসিম উদ্দিন বলেন, আক্রান্তরা যাদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক করেছেন, তাদের অনেকেই এখনো পরীক্ষার জন্য আসেননি। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুশিউল মুনীর বলেন, শিক্ষক ও অভিভাবকদের কঠোর হতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাবে।



সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


প্রকাশক: মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন তালুকদার    সম্পাদক: মো: জিয়াউল হক
সাঁজের মায়া (২য় তলা), হযরত কালুশাহ সড়ক, বরিশাল-৮২০০। ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, মুঠেফোন : ০১৮২৮১৫২০৮০ ই-মেইল : hello@amaderbarisal.com
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।