বরিশাল বিভাগে ৯ লাখ মিটার জাল জব্দ, ৫৭ জেলের কারাদণ্ড
আমাদের বরিশাল ডেস্ক:
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলাকালে নদ-নদীতে মাছ শিকারের দায়ে একদিনে বরিশাল বিভাগে ৫৭ জেলেকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) নিষেধাজ্ঞার চতুর্থ দিনে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন নদ-নদী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর পৃথক ১৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাদণ্ড দেন বিচারক।
বিভাগজুড়ে দণ্ডপ্রাপ্তদের নগদ অর্থ জরিমানার পাশাপাশি ৮৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৃথক অভিযানে ১ লাখ ৮২ হাজার ২১৮ টাকা মূল্যমানের ৯ লাখ ৩ হাজার ৬৪শ মিটার জাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা জাল নিলামে বিক্রি করে মৎস্য বিভাগের আয় হয়েছে ১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। এসময় জব্দ করা হয়েছে ৬০৪ কেজি ইলিশ।
এছাড়াও বিভাগ জুড়ে এদিন ৪৬৭টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, পরিচালিত হয়েছে ১৪২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি বরিশাল বিভাগের ১৯৮টি মৎস্য অবতরণকেন্দ্র, ৮১০টি মাছঘাট, ১ হাজার ৩৫৩টি আড়ত, ৮৩২টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার দিনভর বরিশাল জেলার নদনদীসহ বিভিন্ন স্থানে ১৩৫টি অভিযান চালিয়েছে মৎস্য বিভাগ। এর মধ্যে ৩৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; মামলা দায়ের হয়েছে ৪৬টি। এই জেলার ৫৫টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ২২১টি মাছঘাট, ১৯১টি আড়ত, ১৬৩টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলায় ৩৪টি অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; মামলা দায়ের হয়েছে ১৫টি। এই জেলার ৭টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ২৫টি মাছঘাট, ৭০টি আড়ত, ৬৩টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলায় ৯১টি অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে ২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; মামলা দায়ের হয়েছে ১০টি। এই জেলার ৮টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১১৯টি মাছঘাট, ৩১৭টি আড়ত, ১১৬টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় ৬০টি অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলেদের অর্থদণ্ড করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই জেলার ৫৪টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১২৬টি মাছঘাট, ২০২টি আড়ত, ১৭৬টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
বরগুনা জেলায় ৬৩টি অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; মামলা দায়ের হয়েছে ১টি। এই জেলার ১২টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১০৮টি মাছঘাট, ২৩৮টি আড়ত, ১৪৯টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
ভোলা জেলায় ৮২টি অভিযান হয়েছে। এর মধ্যে ২১টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ জন জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে; মামলা দায়ের হয়েছে ১৬টি। এই জেলার ৬২টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ২১১টি মাছঘাট, ৩৩৫টি আড়ত, ১৩৫টি বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় এবার বিভিন্ন কৌশলে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
মা ইলিশ রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জাানান তিনি।
উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসের ৪ তারিখ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এসময় মা ইলিশ সংরক্ষণে বরিশাল জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরসহ র্যাব, পুলিশ এবং কোস্টগার্ড সদস্যরা কাজ করছে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশাল বিভাগে ৯ লাখ মিটার জাল জব্দ, ৫৭ জেলের কারাদণ্ড
বরিশালে হাজার হাজার ভুয়া জেলে কার্ড
সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় ৩ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বরিশাল-৫: মনোনয়ন লড়াইয়ে সরোয়ার-আলালসহ ৬ হেভিওয়েট
বরিশালে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ, বেড়েছে মাছ-সবজির দাম