আ’লীগ ধরে রেখেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা -শেখ হাসিনা জাতীয় ডেস্ক
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১টা ২০ মিনিটে তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠানরত এ সম্মেলনে ভাষণ শুরু করেন। শুরুতেই শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আসা অন্য দলগুলোর অতিথি এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দলের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, একাত্তরেরর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের হাতে নিহত সবার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে যাচ্ছিল, তখনই সেই ভয়াবহ হামলা হয়। ওই দিন আমার পরিবারের ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে। এভাবে বেঁচে থাকা যে কী কষ্টের, তা যাদের স্বজন হারিয়েছে, শুধু তারাই বুঝতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ধরে রেখেছে এর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তারাই দলের প্রাণ।
সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে সরকারের উন্নয়ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
দরিদ্র মানুষের তালিকা তৈরি করতে এলাকার নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকায় কতজন দরিদ্র, গৃহহারা, ঘর হারা, নিঃস্ব, হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, তালিকা তৈরি করুন। আমরা বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দেব।
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে দলের জাতীয় কমিটির বৈঠকেও তিনি বলেছিলেন, “সরকার তো দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবেই। দলের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করতে হবে, যাতে আমরা এই কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে করতে পারি।”
এবার নিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য তাদের।
ওই লক্ষ্য পূরণের পরিকল্পনা নিয়ে ২০তম সম্মেলন করছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দলটি। দুদিনের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বও গঠন করা হবে।
সকালে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর বিদেশি অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির ভাষণের পর সম্মেলন মুলতবি করেন শেখ হাসিনা। দুপুরে খাবারের বিরতির পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রুদ্ধদ্বার কাউন্সিল অধিবেশন বসবে, যেখানে নতুন নেতৃত্ব গঠিত হবে।
|