ডাস্টবিনে ৩১ মানব ভ্রূণ: শেবাচিমের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ বরখাস্ত ২
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের পেছনের ডাস্টবিন থেকে অন্তত ৩১টি মানব ভ্রূণ (ফিটাস) উদ্ধারের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে গাইনি বিভাগে প্রধান অধ্যাপক খুরশিদা জাহান ও এই বিভাগের নার্সিং সুপারভাইজর জোছনা বেগমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ভ্রূণগুলো উদ্ধারের পর তাৎক্ষনিক তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল মোদাচ্ছের আলী কবির জানান, রাতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা হাসপাতালের পশ্চিম পাশে প্রধান পানির ট্যাংকের পাশে থাকা ডাস্টবিনের ময়লা অপসারণ করতে আসেন। এ সময় তাঁরা ময়লার স্তূপের ভেতরে প্লাস্টিকের বালতিতে অনেকগুলো ভ্রূণ দেখতে পান। পরে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।
হাসপাতালে পরিচালক ডা. বাকির হোসেন রাত সাড়ে ১০টায় বলেন, মূলত অপরিণত যেসব ভ্রূণ হাসপাতালে প্রসব হয়, বিভিন্ন বয়সের সেসব ভ্রূণ ফরমালিন দিয়ে হাসপাতালে গবেষণার জন্য সংরক্ষণ করা হয়। এটা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ভ্রূণগুলো এখন উপকরণ হিসেবে ব্যবহারযোগ্য নয়। তাই এগুলো ফেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ফেলে দেওয়ার পদ্ধতিটা ঠিক হয়নি। এগুলো মাটি চাপা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটা না করে ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়াটা অনুচিত হয়েছে। ফলে খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা যারা করেছে, অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |