Current Bangladesh Time
Wednesday October ৮, ২০২৫ ৪:৪২ AM
Barisal News
Latest News
Home » পিরোজপুর » ভান্ডারিয়া » ভাণ্ডারিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা অফিস সহকারী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
৬ October ২০২৫ Monday ২:৩২:১৯ PM
Print this E-mail this

ভাণ্ডারিয়ায় পরিবার পরিকল্পনা অফিস সহকারী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


ভান্ডারিয়া ((পিরোজপুর) প্রতিনিধি:

pirojpur-map পিরোজপুর মানচিত্র

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা শিল্পী হালদার ও পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হাসিনা খানমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচরিতার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ৪০ জন মাঠকর্মীরা নানা অভিযোগ তুলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভাণ্ডারিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা শিল্পী হালদার কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে মাঠকর্মীদের বিভিন্ন কারণে অকারণে হয়রানি করছেন। তিনি বিভিন্ন অজুহতে মাঠকর্মীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। টাকা না দিলে তাদের ফাইল আটকে হয়রানি করছেন। তাকে খুশি করতে পারলেই বৈধ-অবৈধ সব ঠিক হয়ে যায়।

কর্মচারীরা নিজের পারিশ্রমিকের বিল দাখিল করলে যেমন ভ্রমণ ভাতা বিল পেতে হলে তাকে ৩৫% হারে কমিশন দিতে হয়। না হলে তাদের ভ্রমণভাতা বিল পাশ হয় না।

২৪-২৫ গত অর্থ বছরের অফিসের অসবাবপত্র ক্রয় বাবদ সকল অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। সম্প্রতি মাঠকর্মীদের অভিযোগের পরে একটি চেয়ার ও দুটি পর্দা কিনে অসবাবপত্রের সকল টাকা আত্মসাৎ করেন।

স্থায়ীকরণ আদেশ জেলা কর্মকর্তার নির্দেশ থাকলেও তার চাহিদামতো অর্থ প্রদান না করলে তার আদেশ সার্ভিস বুকের মাধ্যমে উঠানো হয় না। নির্ধারিত ফি পেলেই তিনি তখন সার্ভিস বুক তুলে দেন। 

নিরাপত্তা প্রহরী শাহ আলম নামের এক কর্মচারী লাম্পগ্রান্ড ও জিপিএফ কাগজপত্র তৈরির নামে এক লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। ওই কর্মচারী অর্ধ লক্ষ টাকা প্রদান করলেও বাকী টাকার জন্য দীর্ঘদিন ফাইল আটকে রাখা হয়েছে। পরে স্থানীয়দের চাপে পড়ে বিল প্রদান করা হয়।

ভুক্তভোগী মাঠকর্মীরা অভিযোগ করেন, উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শিল্পী হালদার এ উপজেলায় যোগদানের পর তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি ক্যাম্প ও বিভিন্ন ইউনিয়নে পাক্ষিক সভার নামে সেখানে উপজেলার সকল স্টাফদের দুপুরে লাঞ্চ করার চাপ প্রয়োগ করেন।

লাঞ্চের জন্য তার নির্ধারিত আইটেমের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়, যেখানে ১০-১২ আইটেমের ভর্তা, মাছ, মুরগী, হাঁস, খাশির মাংস ও লেগ পিস সাইজে বড় হতে হবে বাধ্যতামূলক। ইউনিয়নের এসব খাবারের আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিদর্শককে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিদর্শক ও সকল মাঠকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে এই খাবারের আয়োজনের নির্দেশ দেন।

চার সেপ্টেম্বর ২০২৫ মাসে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা হল রুমে উপজেলা মাসিক সভায় তিনি সকল মাঠকর্মী ও কর্মচারীদের হুমকি প্রদান করে বলেন, ‘যাঁরা মাসিক চাঁদা দেবেন না তারা পেনশন নিয়ে বাড়ি যেতে পারবেন না’। হল রুমে বসে স্টাফরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি মাইক ছুড়ে ফেলে দেন। যা সকল কর্মচারী দেখেছেন ও ভিডিও করে রেখেছেন।

২৪-২৫ অর্থ বছরের কোন কিছু না কিনে শুধু কাগজ কলমে ভাউচার দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। স্থায়ী পদ্ধতি ও দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির টাকা-পয়সা নিয়ে মাঠকর্মীদের হয়রানি ও কর্মচারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছেন।

উপজেলার তেলিখালী পরিদর্শক সোহাগ হাওলাদার চাকুরি বাণিজ্য করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভিটাবাড়ীয়ার পরিদর্শক আবদুল মতিন কর্মকর্তার চাহিদা পূরণের জন্য কর্মচারীদের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা তুলে দেন; তিনি আদায়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ভিটাবাড়ীয়া পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের আয়া সালমা বেগম চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আ. মতিনের হাতে লঞ্চিত হয় ওই আয়া। এ দুই পরিদর্শক দুর্নীতিগ্রস্ত অফিস সহকারী ও কর্মকর্তার সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন।

পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হাসিনা খানম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে দুইজন কর্মকর্তা আছেন, তারা আমার বিষয়ে ভালো জানেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে’।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. শরণদীপ হাওলাদার সন্দীপ (অ.দা) বলেন, ‘আমি বিল, ভাউচার ও হিসাব-নিকাশের দায়িত্বে নেই; এ বিষয়ে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই’।

অভিযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তা শিল্পী হালদার বলেন, ‘অফিসের জন্য মালামাল ক্রয় করা হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি বা অনিয়ম হয়নি। তবে একজন কর্মচারী প্রশাসনিক কারণে বদলী করা হয়েছে। তিনি পুনরায় আসতে চাচ্ছেন; এ কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীতে পুনরায় আমার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন’।

পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক

শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশালে বিএনপি নেতাসহ দুই ভাইয়ের ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা গৃহপরিচারিকা
বরিশাল বিভাগে ৯ লাখ মিটার জাল জব্দ, ৫৭ জেলের কারাদণ্ড
বরিশালে হাজার হাজার ভুয়া জেলে কার্ড
সাবের হোসেন চৌধুরীর বাসায় ৩ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
বরিশাল-৫: মনোনয়ন লড়াইয়ে সরোয়ার-আলালসহ ৬ হেভিওয়েট
Recent: Mayor Hiron Barisal
Recent: Barisal B M College
Recent: Tender Terror
Kuakata News

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
আমাদের বরিশাল ২০০৬-২০২০

প্রকাশক ও নির্বাহী সম্পাদক: মোয়াজ্জেম হোসেন চুন্নু, সম্পাদক: রাহাত খান
৪৬১ আগরপুর রোড (নীচ তলা), বরিশাল-৮২০০।
ফোন : ০৪৩১-৬৪৫৪৪, ই-মেইল: hello@amaderbarisal.com