Home » বরিশাল » বাবুগঞ্জ » ঝোপঝাড় আর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বাবুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ
১১ December ২০২৫ Thursday ১১:১৮:১৬ PM
ঝোপঝাড় আর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে বাবুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ
বাবুগঞ্জ(বরিশাল)প্রতিনিধি॥ কোন কাজে আসছে না মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মৃতি জাগরুক করে রাখতে ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বরিশালের বাবুগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ। নির্মাণ কাজ শেষের পর থেকে স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় না মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তস্তে। অবহেলা আর অযত্নে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভটি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় রাতের আঁধারে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে উঠে মাদক সেবীদের অভয়াশ্রম।
স্বাধীনতার ইতিহাস বহনকারী এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাটি বর্তমানে ঝোপঝাড়ে আর লতাপাতায় ঢাকা পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জায়গাটি নোংরা ও অনিরাপদ পরিবেশে পরিণত হয়েছে। এছাড়া নির্মাণের পর থেকে ব্যবহার না করায় ইতিমধ্যে নষ্ট হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মাণ করা টয়লেট ও পানির কলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। জাতীয় বিভিন্ন দিবস সমূহ বিশেষত, স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসেও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় না মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, দেয়া হয় না কোনো ধরনের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
জানাগেছে ২০১৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর প্রায় ৩৪,৯৯,৮৯৯ টাকা ব্যয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর এলাকায় বিমানবন্দর সংলগ্ন নির্মাণ করা হয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু নির্মাণের কয়েক বছরের পার হলোও ব্যবহার করা হয়নি স্মৃতিস্তম্ভ। এমন অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ জনগণ। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বহনকারী এই স্মৃতিস্তম্ভ এভাবে ঝুঁকিতে ও নোংরায় ফেলে রাখা স্বাধীনতার প্রতি অবমাননা বলে মনে করছে অনেকে।
মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি স্মৃতিস্তম্ভের চারপাশে নিয়মিত পরিচর্যা না হওয়ায় সেখানে গড়ে উঠেছে ঘন ঝোপঝাড়। কোন দিবসে দিনে স্মৃতিস্তম্ভটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়নি। ভেতরের এমন নোংরা পরিবেশ দেখলে কেউ আসতে চাইবে না। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, এটি সংস্কার করা হোক। প্রতি বছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হোক।
বাবুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল করিম হাওলাদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের পর থেকে কোন কার্যক্রম হচ্ছে না। স্মৃতিস্তম্ভটি এখন ময়লা আবর্জনার স্তুপ হয়েছে আছে। প্রসাশনের কাছে দাবি স্মৃতিস্তম্ভটি যাতে পরিস্কার করে রক্ষা করা হয়।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা উল হুসনা বলেন, বিষয়টা আমার জানা ছিল না, আমি পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে রক্ষণাবেক্ষণ এর উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)