লালমোহনে মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা, আটক ১
লালমোহন :: লালমোহনে ৭ম শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রী গণধর্ষণের পর অবশেষে মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষকদের চাপে ধর্ষিতাকে নিয়ে তার পরিবার লুকোচুরি করার পর পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে লালমোহন থানায় নিয়ে আসে। শনিবার রাতেই বড় ভাই মোঃ ফরিদ বাদী হয়ে লালমোহন থানায় অবশেষে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশ এ মামলার ১ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র ও মামলার বিবরনী থেকে জানা গেছে, লালমোহন রমাগঞ্জ ইউনিয়নের কর্তারহাট আলীমিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী ওই মাদ্রাসার একটি কক্ষে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের অমূল্য দাসের ছেলে রাজীবের কাছে প্রায় ৬মাস যাবৎ প্রাইভেট পড়ে। এ সুযোগে তাদের মধ্যে মন দেওয়া নেওয়া চলে। এক পর্যায়ে ১০ জানুয়ারী বিকেলে তাদেরকে মাদ্রাসার বাথরুম থেকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে একই এলাকার আফতাবউল্যাহ মাস্টারের ছেলে নাজিম, আজাহারেরর ছেলে মানিক, মাওঃ বশিরউল্যাহর ছেলে বরকত ও একই এলাকার শামিম। পরে ওই শিক্ষকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে তারা।
এ ঘটনার বিচারের কথা বলে ওই ছাত্রীকে রাতভর পাশ্ববর্তী একটি পরিত্যাক্ত ঘরে রেখে গণধর্ষণ করে নাজিম, মানিক ও বরকত। সকালে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে ঘটনা জানায়। এদিকে এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসার ছাত্রীর পরিবারকে আলীগাঁও গ্রামের মেম্বার উজ্জল মোটা অংকের টাকার লোভ দেখিয়ে ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে। পরে শনিবার রাত ১০ টার দিকে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করা হয়।
কর্তারহাট আলীমিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, মেয়েটি এই মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে এবার ৭ম শ্রেণীতে উঠেছে। ঘটনার পর আমি মেয়েটির সাথে কথা বললে সে রাজীব, নাজিম, মানিক ও বরকতের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে স্বীকার করে কেঁদে ফেলে। পরবর্তীতে আমি থানার অফিসার ইনচার্জকে ঘটনাটি জানাই। তিনি আমাকে সকালে ছাত্রীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বললে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে ছাত্রীটিকে পাইনি।
মেয়ের ভাবী জানায়, ১০ জানুয়ারী বিকেলে প্রতিদিনের মত শিক্ষক রাজীবের কাছে পড়তে যায় তার ননদ। ওই দিন না ফিরে পরের দিন সকালে বাড়িতে এসে সে জানায়, শিক্ষক রাজীব, নাজিম, মানিক ও বরকত তাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে। এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনজার্চ খন্দকার মিজানুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-১০। মামলার ১ আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরার অভিযান চলছে।
সম্পাদনা: ডিভিশনাল ডেস্ক |