গরমপানিতে ঝলসে যাওয়া শিশুটি বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসারত।শিশুটির নাম: মাহিন(৭)সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১ম শ্রেনির ছাত্র।
স্থানীয় এবং আহত শিশুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে গরম পানি নিক্ষেপকারী প্রতিবেশী মো: মাসুম মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম।রহিমাদের বাথরুমের পাশের রাস্তায় খেলা করছিলো শিশু মাহিন।
কেউ কিছু বুজে উঠার আগেই হটাৎ রহিমা ক্ষিপ্ত হয়ে গরমপানি মেরে দেয় মাহিনের উপর।স্থানীয়রা জিজ্ঞেস করলে রহিমা জানায় তিনি গোসল করতে ছিলো তখন মাহিন সেখানে ওকিঝুকি মারছে, তাই তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওর উপর গরম পানি মেরেছেন।
আহত শিশু মাহিন এর পরিবার অভিযোগ করে বলেন মাদ্রাসা ছাত্র মাহিন ছোট্ট বেলায় ও তার মাকে হারিয়েছে, ওর বয়স এখন কেবল মাত্র ৭ বছর চলে, এই ছোট্ট শিশু সে, এই বয়সে কিছু কি বুঝে! যে রহিমা এত বড় একটা ক্ষতি করবে ওর।
আহত শিশুর পিতা: মো. সুমন হাওলাদার জানায় মাত্র ১৭ দিনের মাথায় মাহিন তার মাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে।আমার সেই এতিম বাচ্চাকে যারা গরমপানি ডেলে মারতে চেয়েছে আমি তাদের বিচার চাই।
ওর শরীরের দিকে তাকাতে পারি না।কোমরের বাম পাশ ঝলসে গেছে।আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে আমার দাবী এই হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওয়াতায় এনে কঠিন শাস্তি দেয়া হোক।
তাদের বিচার দেখে যেনো সবাই শান্তি পায়।আমার ছেলের মত কোনো মায়ের কোলের শিশু এভাবে কষ্ট না পায়। এবিষয়ে মো. সুমন হাওলাদার আরও জানায় মাহিনের চিকিৎসা শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ঘটনার পরপরই গরম পানি নিক্ষেপকারী প্রতিবেশী মো: মাসুম হাওলাদার ও স্ত্রী রহিমা বেগম ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন বলে জানায় স্থানীয়রা।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান