বরিশালে অপরিকল্পিত একটি কালভার্ট নির্মাণের কারণে প্রায় পাঁচশ একর ফসলি জমি বছরের ৯ মাস পানিবন্দি থাকে। এতে এলাকার তিন শতাধিক কৃষক ফসল ফলাতে পারছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কালীখোলা এলাকায় বরিশাল-ভোলা জাতীয় মহাসড়কের চরকাউয়া জিরোপয়েন্ট এলাকায় পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ২০১২ সালে নির্মাণ করা হয় ৭০ ফুট দীর্ঘ কালভার্ট। নির্মাণ নকশায় ত্রুটির কারণে ঠিকভাবে পানি অপসারিত হয় না। ফলে এখানে জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে।
ওই এলাকার কৃষক শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, কালভার্টটির উচ্চতা মহাসড়কের উচ্চতা থেকে প্রায় চারফুট নিচু। এতে পানি কোনোদিকেই যাতায়াত করে না। কালভার্টটি যখন নির্মাণ করা হচ্ছিল তখন আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। ঠিকাদারকে বলেছিলাম, নিচু কালভার্ট দিয়ে পানি অপসারণ হবে না। তারা আমাদের কথা না শুনে তাদের মতো করে কাজ করে গেছেন।
আরেক কৃষক আব্দুল করিম বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পেতে ২০১৬ সালে আমরা বিক্ষোভ করি। আমাদের কথা শুনে ঘটনাস্থলে তৎকালীন জেলা প্রশাসকও গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কালভার্ট হওয়ার পর থেকে পানি আটকে থাকে পুরো এলাকায়।
স্থানীয় রাকিব হাসান বলেন, আমাদের জমি থাকার পরও গত ১৩ বছর যাবৎ আমন চাষ করতে পারি না। এই কালভার্টের কারণে আমাদের জমিগুলো অকেজো পড়ে আছে। এ জমি কেউ কিনতেও চায় না। বিক্রির চেষ্টা করেছি কয়েকবার। কিন্তু পারিনি। নিচু জমি বলে ক্রেতারা দাম কম বলে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বরিশাল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাসুদ খান বলেন, ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। যখন কালভার্টটি নির্মাণ করা হয় তখন মূল সড়কটি নিচু ছিল। নতুন প্রকল্প গ্রহণের সময় সংযোগ সড়কের এই কালভার্টটি সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসন করা হবে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান