পটুয়াখালীর গলাচিপায় নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ অভিযানে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের বাধা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ-এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৯টায় গলাচিপা প্রেস ক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যোগে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রতিনিধি মুনতাসীর মামুন। উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি সায়মুন রহমান এলিট, দৈনিক গণবার্তা প্রতিনিধি মহসিন হোসেন জয়, আমাদের সময় প্রতিনিধি মো. নাসির উদ্দিন, যুগান্তর প্রতিনিধি সোহাগ রহমান, এশিয়ান টিভি প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, বিজয় টিভি প্রতিনিধি আহসান উদ্দিন জিকু, আমাদের অর্থনীতি প্রতিনিধি মো. মাসুদ রহমান, যায়যায়দিন প্রতিনিধি মো. রিয়াদ হোসেন এবং স্বাধীনমত পত্রিকার প্রতিনিধি মো. হাফিজুল্লাহসহ গলাচিপায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভোরের পাতা প্রতিনিধি মো. হাফিজ, জনবানী প্রতিনিধি শিশির রঞ্জন হাওলাদার, গণকণ্ঠ প্রতিনিধি মিঠুন চন্দ্র পাল, চ্যানেল এস প্রতিনিধি মো. উজ্জ্বল মিয়া, সকালের সময় প্রতিনিধি মো. মোস্তফা কামাল খান, জিটিভি প্রতিনিধি মো. শাহীন, মুক্ত খবর প্রতিনিধি মো. নেছার উদ্দিন, মুভি বাংলা টিভি প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম চয়ন, নিউজ ২১ টিভি প্রতিনিধি পলাশ হাওলাদার এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরেফিন লিমন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা সবসময় দায়িত্বশীলতা ও সংযমের সঙ্গে পেশাগত কাজ করে থাকেন। তাদের কাজে বাধা দেওয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছ থেকে এমন আচরণ মোটেও প্রত্যাশিত নয়।
বক্তারা আরও বলেন, “সংবাদসংগ্রহেরসময়সাংবাদিকদেরঅপমানকরা, ছবিবাভিডিওধারণেবাধাদেওয়াগণতান্ত্রিকমূল্যবোধওমুক্তগণমাধ্যমেরপরিপন্থী।এটিরাষ্ট্রেরচতুর্থস্তম্ভহিসেবেগণমাধ্যমেরস্বাধীনতারওপরহুমকি।”
তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে গলাচিপা পৌর শহরের বটতলা বাজার এলাকায় র্যাব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযানে প্রায় ১ হাজার ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ।
র্যাবের আহ্বানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন স্থানীয় সাংবাদিকরা। কিন্তু তারা যখন ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে যান, তখন এসিল্যান্ড তাদের বাধা দেন এবং রুক্ষ আচরণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি মোবাইল কোর্টের রায় ঘোষণার সময়ও সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম ও এসিল্যান্ডের প্রেস ব্রিফিং বর্জন করেন। তখন এসিল্যান্ড সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা নিউজ না করলে আমার কি! নিউজ করতে হবে না।”
পরে সাংবাদিকরা র্যাব-৮ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার রাশেদ পরিচালিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেন।
ঘটনার পর সাংবাদিকদের ওই জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এসিল্যান্ডের আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি তোলা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে প্রতিবাদ লিপি জমা দেওয়া হবে।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
দক্ষিণের ৭টি অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
বরিশালে বিএনপি নেতাসহ দুই ভাইয়ের ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা গৃহপরিচারিকা
বরিশাল বিভাগে ৯ লাখ মিটার জাল জব্দ, ৫৭ জেলের কারাদণ্ড