আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পটুয়াখালীর ৪ শিক্ষককে বরগুনায় বদলি
পটুয়াখালী প্রতিনিধি:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৫ নেতাসহ ৪২ সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে এক আদেশে মন্ত্রণালয় এই বদলির অনুমতি দিয়েছে।
বদলির আদেশ হওয়া ৪২ সহকারী শিক্ষকের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার ৪ শিক্ষক রয়েছেন। তারা হলেন— মির্জাগঞ্জের দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গাজী মশিউর রহমানকে বরগুনার আমতলীর উত্তর চালিতাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, পূর্ব শ্রীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিবুল হাসানকে বরগুনার আমতলীর উত্তর গেরাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এম শামীম আহমেদকে বরগুনার তালতলীর নিদ্রারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. উজ্জল খানকে বরগুনার তালতলীর মরা নিদ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই আদেশে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক স্মারকে পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বদলির অনুমোদন প্রদান করা হলো।
এদিকে বদলির এই তালিকায় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ৫ নেতার নাম রয়েছে। তারা হলেন— প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি; বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নোয়াখালী সদরের কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শামছুদ্দীন মাসুদ; বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আবুল কাশেম, প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ক ও জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মাহবুবার রহমান এবং কিশোরগঞ্জ মিঠামইন ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মো. মনিরুজ্জামান।
আদেশে দেখা যায়, সহকারী শিক্ষকদের প্রত্যেককে পাশের জেলায় বদলি করা হয়েছে। ফলে নিজের কর্মস্থলের জেলায় থাকতে পারবেন না এসব শিক্ষক।
সাধারণত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ জেলায় পদায়ন পান। এক জেলা থেকে আরেক জেলায় বদলি করার রেওয়াজ নেই। তবে শাস্তিমূলক বদলির ক্ষেত্রে অনেক সময় ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। সেক্ষেত্রে ‘প্রশাসনিক কারণ’ দেখানো হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পলিসি অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহফুজা খাতুন বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে।’ তবে ঠিক কতজনকে বদলি করা হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত নন।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)