Home » দশমিনা » পটুয়াখালী » দশমিনায় এক দপ্তরে ৪ ট্যাগ কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ
১৬ September ২০২৫ Tuesday ৯:৩৬:৫৬ PM
দশমিনায় এক দপ্তরে ৪ ট্যাগ কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে অসন্তোষ
দশমিনা ((পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর দশমিনায় সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ট্যাগ অফিসার নিয়োগে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মকর্তা থাকতেও স্বনজপ্রীতির মাধ্যমে একই দপ্তর থেকেই চারজনকে নিয়োগ করা হয়েছে ট্যাগ অফিসার হিসেবে। এতে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে।
রাজস্ব খাতের কর্মকর্তা থাকতেও প্রকল্প নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদেরও ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সৎভাবে কাজ করায় এক কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসারের পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগও রয়েছে।
সূত্র জানায়, জিআর, ভিজিএফ, ভিজিডি, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি, মৎস্য ভিজিএফসহ বিভিন্ন ত্রাণ কার্যক্রম তদারকির জন্য গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা) থেকে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে বহরমপুর ইউনিয়নে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কেএম জাহিদ হাসান, রনগোপালদী ইউনিয়নে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা খালিদ হোসেন (সম্প্রতি বদলি হয়েছেন) ও আলীপুরা ইউনিয়নে মেরিন ফিসারিজ কর্মকর্তা (প্রকল্পে নিয়োগ) নাজমুল হাসানকে ট্যাগ অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, দশমিনা সদর ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-মামুন, বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সবুজ সিকদার ও চরবোরহানে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদকে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে দশমিনা সদর ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আল-মামুন একই ইউনিয়নের জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধকও।
সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের নিয়োগে বৈষম্য এবং স্বনজপ্রীতি হওয়ায় চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সরকারি দপ্তরের প্রধান বলেন, চক্রান্ত করে আমাকে ট্যাগ অফিসারের পদে রাখা হয়নি।
এর আগে ট্যাগ অফিসার থাকতে আমি সৎভাবে কাজ করেছি। তাই আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ট্যাগ অফিসার নিয়োগে বৈষম্য করা হয়েছে। শুধু একটি দপ্তর থেকেই চারজন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে তিনি দাবি করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, ট্যাগ অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। অভিযোগ ছাড়া কাউকে সরাতে পারছি না। এগুলো আগে থেকেই দেওয়া ছিল (ট্যাগ অফিসার)। কাজ করছে কিনা সেটাই আসল বিষয়। এমন কোনো লোক নিয়োগ দেওয়া যাবে না, যিনি সততা বজায় রাখতে পারবেন না।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
জি এম কাদের, পাটোয়ারীসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেল ৩৭ প্রতিষ্ঠান