বর্জন-সংঘর্ষের মধ্যে ভোট গ্রহন চলছে গলাচিপায় প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জনের মধ্য দিয়েই রবিবার (৭ আগস্ট) পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি মেয়র প্রার্থী আবু তালেব মিয়া দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। সবকটি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোট গ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম ও জাল ভোটের অভিযোগ এনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওহাব খলিফা দলীয় কার্যালয়ে আরেক সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ বলে আখ্যা দিয়ে বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জনকে দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এর আগে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা বিরতিহীন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ৯টি কেন্দ্রের ৪৭টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ নির্বাচনে ১৪৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এর মধ্যে ৭০২৭ জন পুরুষ ও ৭৩৩৪ জন নারী ভোটার রয়েছেন।
এদিকে, জাল ভোটের মহড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে ৭ নং ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ও র্যাব এসে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্টু করতে র্যাব, পুলিশের পাশাপাশি এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনে মোট ১৪ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৭ হাজার ২৭ জন পুরুষ আর ৭ হাজার ৩৩৪ জন নারী ভোটার।
এছাড়া মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আবদুল ওহাব খলীফা ও বিএনপির আবু তালেব মিয়া মোট দুই জন। ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৫ জন প্রার্থী হয়েছেন। সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৪,৫,৬ ওয়ার্ডে আঞ্জুমান আরা বেগম করুনা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১,২,৩ ও ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। উল্লেখ্য তিনটি ওয়ার্ড মিলে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের পদ একটি।
কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আবদুল মান্নান জানান, ৫টি বুথের এজেন্ট কার্ড সই করে নিয়েছে তারা। অনুপস্থিতির ব্যাপারে কারও কোনও অভিযোগ পাইনি।
জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে এক প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাবের তিনটি টিম, ২২৫ পুলিশ সদস্য ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার। প্রতি কেন্দ্রে ১২ পুলিশ সদস্য, স্ট্রাইকিং ফোর্স ৪টি, মোবাইল টিম ৬টি ছাড়াও থানায় স্ট্যান্ডবাই রয়েছে আরও এক প্লাটুন পুলিশ।
সম্পাদনা: বরি/প্রেস/মপ |