নানা আয়োজনে বরিশাল মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিনটি পালনে শোভাযাত্রা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, আলোচনা সভা ও দোয়া-মোনাজাত করা হয়েছে।এদিন সকালে মুক্তিযুদ্ধে বরিশালের প্রথম সচিবালয় নগরী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শোভাযাত্রাটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।আলোচনা সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মর্তুজা রহমান মানিকসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সংগঠিত হওয়া এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার স্মৃতিচারণ করেন। পরে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। শেষে দোয়া মোনাজাত করা হয়।১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল পাক বাহিনী আকাশপথে এসে বরিশাল প্রবেশ করে। পাকিস্থানি বিমানবাহিনীর কয়েকটি হেলিকপ্টার থেকে শহরের উপকণ্ঠে চরবাড়িয়া ও কাশীপুরে ইছাকাঠী গার্ডেনে ছত্রীসেনা নামিয়ে দেয়। চরবাড়িয়ায় পাকিস্তানি আর্মি ঢুকে নির্বিচারে হত্যা করে শহরে এসে প্রথমে অশ্বিনী কুমার হল পরে জিলা স্কুলে এবং সবশেষে ওয়াপদায় তাদের হেড কোয়ার্টার গড়ে তোলে। ৭ ডিসেম্বর কারফিউ জারি করে। পরিদন ৮ ডিসেম্বর ভোররাতে জাহাজ কিউসহ একাধিক গানবোট, লঞ্চ ও কার্গোতে বরিশাল শহর থেকে পালিয়ে যায় তারা। মুলাদীর কদমতলা নদীতে লঞ্চ, চাঁদপুরের মেঘনা মোহনায় কিউ জাহাজসহ গানবোট ও কার্গো ধ্বংস করা হয়।সেদিন সবাই রাজপথে বেরিয়ে এসে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-০৪ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশর বিদ্রোহী প্রার্থীর আর্বিভাব