সাংসদ হিরনের ভাইকে কাজ না দেয়ায় প্রকৌশলী লাঞ্ছিত নিজস্ব প্রতিবেদক
ফিরে দেখা: কাজ না দেয়ায় স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে গালিগালাজ ও হুমকি দিচ্ছে তৎকালীন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ছোট ভাই মামুন মাহমুদ (লাল বৃত্তে) – ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল তোলা ছবি
বরিশাল সদর আসনের সাংসদ সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের ভাই মামুন মাহমুদকে ঠিকাদারী কাজ না দেয়ায় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। রোববার বেলা ১২টার দিকে সাংসদ হিরনের অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটায়।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর তিনটি স্থানে মার্কেট নিমানের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৩ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর ওই কাজের দরপত্র জমা দেয়ার নির্ধারিত দিনে টেন্ডারে অংশগ্রহন করেন সদ্য সাংসদ হওয়া শওকত হোসেন হিরনের ভাই মামুন মাহমুদের মেসার্স মামুন ব্রাদার্স, আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেল মেয়র বাদশার ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ, আওয়ামী লীগ নেতা নারুর শ্রাবনী এন্টারপ্রাইজ, সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর প্যানেল মেয়র বিএনপি নেতা আলহাজ্ব কেএম শহীদুল্লাহ শহীদের ছোঁয়া এন্টারপ্রাইজসহ বেশ কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, নিয়মানুযায়ী লটারী করা হলে বিএনপি নেতা কেএম শহীদুল্লাহ শহীদের ছোঁয়া এন্টারপ্রাইজ ওই কাজটি পায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হিরনের ভাই মামুন মাহমুদের অনুসারী আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেল মেয়র মোশারেফ আলী খান বাদশার নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ক্যাডার ওই কাজ বাতিল করে পুনরায় দরপত্র আহবানের জন্য কর্মকর্তাদের প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহেদুজ্জামানের কক্ষে প্রবেশ করেন ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ আলী খান বাদশা। এসময় তার সাথে ছিলেন ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা নারায়ন চন্দ্র দাস নারু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ ২০/২৫ জন নেতাকর্মী।
তারা ওই প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকেই জেলা পরিষদের মার্কেট নির্মানের কাজ কেন ‘মামুন ব্রাদার্স’ পায়নি তার কৈফিয়ত দাবি করে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
এসময় মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি জসিম উদ্দিন ও মামুন ব্রাদার্সের প্রতিনিধি পংকজ দাস জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্চিত করে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মেসার্স মামুন ব্রাদার্সের প্রতিনিধি পঙ্কজ দাস জানান, লাঞ্ছিত করার কোন ঘটনা ঘটেনি। সকল ঠিকাদার চান কাজটি যেন মামুন ব্রাদার্সকে দেয়া হয়। এজন্য সকল ঠিকাদার একজোট হয়ে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে হুশিয়ার করে দেয়া হয়েছে। তবে তাকে কোন হুমকি দেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
সম্পাদনা: সেন্ট্রাল ডেস্ক |