বরিশাল-৫ আসনটি বরাবরই আলোচনায় থাকে। স্থানীয় রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে জাতীয় রাজনীতিতেও এই আসনটি বারবার আলোচনায় উঠে আসে। এর কারণ আসনটি ঘিরে হেভিওয়েটদের লড়াই শুরু হয় প্রতি নির্বাচনেই। এবারও ব্যাতিক্রম ছিল না। ফ্যাসিবাদী সংগঠন আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলেও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে জাতীয় ও স্থানীয়ভাবে ব্যাপক পরিচিত অন্তত ৫ প্রার্থী মনোনয়ন লড়াইয়ে ছিলেন।
শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে মজিবর রহমান সরোয়ারেই আস্থা রাখল বিএনপি। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং এই আসনের ৫ বারের সাবেক এমপি। বরিশাল সিটির মেয়র পদেও ছিলেন সরোয়ার। জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। দীর্ঘদিন রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্ব করায় বরিশালে সরোয়ারের ভোট ব্যাংক রয়েছে।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন লড়াইয়ে এবার ছিলেন হাফ ডজনেরও বেশি নেতা।
এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি একসময় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ।
এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমতউল্লাহ। তিনি মনোনয়নের জন্য জোর লবিং করেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকও এই আসন থেকে ভোট করতে চেয়েছিলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবায়েদুল হক চাঁনও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। বরিশাল (দক্ষিণ) জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন ও মহানগর বিএনপির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা নাসরিন ও এই আসন থেকে ভোট করতে চেয়েছিলেন।
আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।’
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
চমক দিয়ে বরিশালের ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা