Home » নাজিরপুর » পিরোজপুর » নাজিরপুরে মার্কেট নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে
২৮ October ২০২৫ Tuesday ৩:০১:৫৫ PM
নাজিরপুরে মার্কেট নির্মাণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সাবেক মন্ত্রীর ভাইয়ের বিরুদ্ধে
নাজিরপুর ((পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
বিগত সরকারের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূর আলম সিদ্দিক শাহীন বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতল ভবনের টেন্ডার বাগিয়ে নিয়ে কাজ শেষ না করেই টাকা উত্তোলন করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা। দোকানপাট ভেঙে কাজ শুরু করলেও তা শেষ না করে ফেলে রাখায় ব্যবসায়ীরা এখন বাজারে ব্যবসা চালাতে পারছেন না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
নাজিরপুর উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের শতবর্ষ পুরানো বাবুরহাট বাজার পিরোজপুর ও বাগেরহাট জেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক লেনদেনের কেন্দ্র। এক সময় সরগরম এই বাজার এখন পরিণত হয়েছে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘশ্বাসে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাজারে বহুতল বিশিষ্ট মার্কেট নির্মাণের কথা বলে প্রায় অর্ধশত দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এলজিইডির দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পান তৎকালীন সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই নূর আলম সিদ্দিক শাহীন। প্রায় ৩ কোটি টাকার ওই কাজ কলাম পর্যন্ত উঠিয়েই শাহীন টাকা তুলে নেন। প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারেননি। এর ফলে মার্কেটটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে, আর এর কারণে দুই জেলার আটটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন।
বাবুরহাট বাজার কমিটির সভাপতি মো. গাউসুল হক বলেন, ‘ঠিকাদার নূর আলম সিদ্দিক শাহীন মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ভাই হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়নি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মার্কেট নির্মাণের কথা বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দোকান উচ্ছেদ করেছিল। প্রতিবাদ করতে গেলে জীবননাশের হুমকিও দিয়েছিল শাহীন ও তার লোকজন। কাজ শেষ না করে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দিলে অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায় তারা। বহুতল ভবনটি নির্মাণ না হওয়ায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।’
ঠিকাদার কাজটি প্রায় তিন বছর ফেলে রাখায় এলজিইডি বারবার চিঠি দিলেও শাহীন সে নির্দেশ অমান্য করেন। পরবর্তীতে তিনি নির্মাণসামগ্রী সরিয়ে নিয়ে যান এবং প্রভাব খাটিয়ে টাকা উত্তোলন করে নেন। তবে এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি এলজিইডি নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
এ বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া শাহনাজ তমা বলেন, ‘স্থানীয় সরকার বিভাগের যেসব কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্তাধীন রয়েছে, সেসব কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত কাজগুলো শেষ করার জন্য প্রশাসন তৎপর।’
২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর বাজারের বহুতল ভবন নির্মাণে ইফতি ইলেকট্রিক্যাল (প্রা.) লিমিটেডের সঙ্গে যৌথভাবে সিমরান মায়ান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি চুক্তি হয়, যা ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)